প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় জন্য সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের বেশি সময় থাকা যাবে না। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতিক্রমে আগের মতো গোপন কক্ষে সাংবাদিকরা যেতে পারবেন না। নির্বাচনীবিধি মোতাবেক সবকিছু হবে।
তিনি বলেন, সময় স্বল্পতার কারনে ইভিএম ভোটারদের কাছে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিতব্য উন্নয়ন মেলায় ইভিএম প্রদর্শন করা হবে। এখানে ব্যবহার পদ্ধতি দেয়া যাবে। সে কারণে আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে অল্প কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। কারন পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেলেও আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা সেই পুরনো পদ্ধতিতেই রয়ে গেছে। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকী, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ কে এম সারোয়ার জাহান ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ, সকল থানার ওসি, আইন শৃংখলাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে র্যাব, বিজিবি কর্মকর্তা , গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভাটি রুদ্ধদ্বার হওয়ায় নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া সাংবাদিকসহ কারো প্রবেশাধিকার ছিল না। এর আগে সকালে জেলা নির্বাচন অফিসে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথেও অনুরূপ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সিইসি। সেখানেও সাংবাদিকসহ অন্য কারো প্রবেশাধিকার ছিল না।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা না করার সিদ্ধান্ত যেকোন রাজনৈতিক দলের নিজস্ব ব্যাপার। এ ব্যাপারে কোনো দলের সাথে কমিশন আলোচনা করবে না। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্ততি চলছে। তবে ভোট গ্রহণের সময় এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আশা করি নভেম্বর মাসের শুরুতে তফশিল ঘোষনা করে ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply